আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন বাজেট কার্যকর হবে এর আগেই প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল কল রেট ও ইন্টারনেটের বাড়তি শুল্ক কেন আরোপ করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের ইমেইল চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
১৩ জুন শনিবার বিটিআরসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফরহাদ আলম অপারেটরগুলোকে ইমেইলে চিঠি পাঠিয়েছেন। মোবাইল ফোনের সেবার ওপর ধার্যকৃত কর প্রস্তাবিত বাজেটে ১জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিটিআরসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইতিপূর্বে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে কল রেট অনেক কম তাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। তবে কথা বলার প্রবণতা কমানোর জন্য কল রেটে আরও ৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়নি। বরং কল রেট কম তাই মাত্র ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ব্যয় করার সক্ষমতা মানুষের আছে।
তিনি বলেন, আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে কত শতাংশ বাড়ানো হল সেটা বিবেচনা না করে এর বিরোধিতা করা। এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, এটাতে মানুষের তেমন ক্ষতি হবে না।এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার কথা বলা এবং খুদে বার্তা পাঠান উপর ও সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১১জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। রাতেই কোন কোন মোবাইল অপারেটর তা কার্যকর করার কথা জানায়। কেউ কার্যকর করলেও গ্রাহকের জন্য সব ক্ষেত্রে দাম বাড়ায় নিয়ে।
নতুন ধার্যকৃত করের হিসাবে মোবাইল সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ১৫% সম্পূরক শুল্ক ১৫% ও সার চার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করবা ভ্যাট দাঁড়িয়েছে ৩৩.৫৭ শতাংশ। প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকারো বেশি এতদিন যা ছিল ২২ টাকার মতো।


