স্রোতের তীব্রতার কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে দুটি ফেরি ও একটি লঞ্চ জাতীয় যানবাহন নিয়ে ভেসে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে স্রোতের গতিবেগ তীব্র আকার ধারণ করেছে, পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
বি আই ডব্লিউ টিসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে দ্বিতীয় দফায় পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করায় স্রোতের গতিবেগ প্রচন্ড তীব্র আকার ধারণ করে।বৃহস্পতিবার সকালে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রোরো ফেরি শাহ মখদুম ও কেটাইপ ফেরি ক্যামেলিয়া যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে রওনা দিলে পদ্মা তীব্র স্রোতের বাধার মুখে পড়ে। এতে রফি স্রোতের তোপের মুখে প্রায় ৬ কিলোমিটার ভাসিয়ে নিয়ে যায়। দুটো উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কেটাইপ ফেরি ক্যামিলেয়া ও প্রায় তিন কিলোমিটার ভেসে যায় স্রোতের তোড়ে। আই টি জাহাজ দিয়ে ওই ফেরি টিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য উভয় ফেরিতে যানবাহন ও যাত্রী রয়েছে।
অপরদিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে এল স্রেষ্ঠ টু লঞ্চ পদ্মায় এসে পাখা ভেঙে যায়। এতে প্রায় ৭ কিলোমিটার ভাটিতে ভেসে যায়। মালিকপক্ষ খবর পেয়ে দুটি লঞ্চ নিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। তবে এখনো লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিআই ডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।


