তত্ত্বাবধায়কের অব্যবস্থাপনায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের বেহাল দশা

0


 

শরীয়তপুর সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবদুস সোবাহানের দূর্ণীতি, অদক্ষতা এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।


শুধু তাই নয়, তার অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা দালালদের কারণে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা টুকু পাচ্ছে না।


একদিকে রোগীরা দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণ স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। অপরদিকে চিকিৎসকরা অনেক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা এখন কারণে অকারণে রোগীদের গায়ে হাত তোলা শুরু করেছে।


অতি সম্প্রতি ডাঃ আকরাম এলাহী এক রোগীকে লাথি থাপ্পড় মারছেন এই ধরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভাইরাল হয়েছে। সেই আলোকে ডাঃ আকরাম এলাহীর বিরুদ্ধে অনেক পত্রিকায় নিউজও হয়েছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সেই ব্যাপারে ডাঃ আকরাম এলাহীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। বিধায় ডাঃ আকরাম এলাহী বহাল তবিয়তে আরও বেপরোয়া হয়ে তার ব্লাক মেইলিং চিকিৎসা পদ্ধতি চালিয়ে যাচ্ছেন।


সরকারী বিধি মোতাবেক একজন সরকারী চিকিৎসক অফিস চলাকালীন কোন বেসরকারী ক্লিনিক বা হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।


শরীয়তপুরের হাসপাতালটি একটি অপরিচ্ছন্ন হাসপাতাল। এ হাসপাতালটি এতোটাই অপরিচ্ছন্ন যে দুর্গন্ধে হাসপাতালের কোন কক্ষে ঢোকা যায় না।


দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার। অপারেশন থিয়েটার বন্ধের কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর অভিভাবক আবদুল বারেক ভূইয়া বলেন, “আমার স্ত্রীকে সিজার করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে নাকি অজ্ঞানের ডাক্তার নেই। তাই সিজারের জন্য মাদরীপুর নিয়ে যাচ্ছি”।


এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন কুমার পোদ্দারের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক স্যার বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন শাহ জালাল হাসপাতালে অপারেশনের জন্য গিয়েছিলেন এটা সত্য। সেই অপারেশনের রোগীটা মারা গিয়েছে এটাও সত্য। সরকারী বিধি মোতাবেক কোন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব দেখিয়ে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখার সুযোগ নেই।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top