আল্লাহ তাআলা পার্থিব ও আসমানি মহাবিশ্ব সুনিপুণভাবে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীকে সবুজ শস্য ও ক্ষেত-খামার, সবুজ বন, বিবেক-বুদ্ধি, হৃদয় ও চোখকে মোহনীয় করা জলপ্রপাত, নদী-সাগর, সুউচ্চ পর্বতমালা ও লম্বা লম্বা গাছ, সুগন্ধি ফুল ও ফল দিয়ে সাজিয়েছেন। তিনিই পৃথিবীর আকাশকে প্রদীপ (অর্থাৎ নক্ষত্র ও গ্রহ) দ্বারা সজ্জিত করেছেন এবং প্রতিটি মহাকাশীয় মহাবিশ্বে তিনি একটি সিস্টেম জমা করেছেন এবং সৃষ্টি ব্যবস্থায় তিনি কোনো অনিয়ম বা অসামঞ্জস্য রাখেননি, যাতে একে অন্যের ভেতর অনুপ্রবেশ না ঘটে।
কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ‘তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন।তুমি করুণাময় আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে কোনো তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও, কোনো ফাটল দেখতে পাও কি?’ (সুরা : আল মুলক, আয়াত : ৩)।
পৃথিবী যখন বায়বীয় পদার্থের উদ্ভাবন ও তাদের ব্যাপক ব্যবহারের যুগে প্রবেশ করে, তখন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন উদ্ভাবন, বিভিন্ন অনুসন্ধান, রাসায়নিক ও জৈবিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ব্যাপক উন্নয়নের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প আজ কোনো না কোনো পরিবেশদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।১৭৫০ সালে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েছে। (Climate Change 2014 Synthesis Report Summary for Policymakers, Intergovernmental panel on climate change 2014, pp. 47)
আর চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ তাপমাত্রা ২-১.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। এই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলতে শুরু করেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তা ছাড়া অনাবৃষ্টি ও অপ্রত্যাশিত ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


