গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন গুলিবিদ্ধ অটোচালক রমজান মুন্সী (৩২)। সংঘর্ষের দিনেই নিহত হন রমজান কাজী (১৯), সোহেল রানা (৩৫), দীপ্ত সাহা (৩০) ও ইমন তালুকদার (২৪)। নিহতদের পরিবারের দাবি, তারা পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলাজুড়ে কারফিউ জারি করেছে, যা দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে আরও ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জের জনজীবন থমকে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে, রাস্তাঘাটে টহল দিচ্ছে পুলিশ। রাতভর অভিযান চালানো হচ্ছে এবং প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
গোপালগঞ্জের প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তবে, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।