
ছাত্রলীগের ধান কাটা কর্মসূচি সারাদেশে প্রশংসিত হওয়ার কারণে কিছু মন্ত্রী,এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা এটা কি শুরু করেছেন ?
অনেক আওয়ামী লীগ নেতা রাস্তার পাশে গাড়ী থামিয়ে দলবল নিয়ে বিভিন্ন ধান ক্ষেতে গিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিচ্ছেন। অনেকে স্থানীয় পত্রিকায় এবং অনলাইনে ছবি প্রকাশ করছেন।এভাবে নামিদামি ব্যক্তিদের কান্ড কৃষকদের মাঝে ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।এমনকি আওয়ামী লীগের ভেতরে ও সমালোচনার শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও পুলিশ বিভিন্ন সময় তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত হয়েছে।আজ জাতির এই প্রয়োজনের সময় তারাই জাতিকে সঠিক পথ দেখাচ্ছেন।পুলিশ যেমন তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানবতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তেমনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের ধানকাটা কর্মসূচির মাধ্যমে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সঠিকভাবে ধান কেটে কৃষকের আস্থা অর্জন করেছে, সেই সাথে জনগণের মন জয় করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যার প্রশংসা করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ছাত্রলীগকে প্রশংসা করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
আর ছাত্রলীগের এই বিষয়টি দেখে আওয়ামী লীগের কিছু রাজনীতিবিদ, এমপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ধান কেটে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা শুরু করেন। ঢাকাই ছবির কিছু নায়িকাদের এ কাজ করতে দেখা যায়। হোক তা কাঁচা ধান বা পাকা ধান ছবি তুলতে পারলেই হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে দেখতে পাওয়া যায় যে,টাঙ্গাইলে কৃষকের কাঁচা ধান কেটে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন সংসদ সদস্য ছোট মনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে দেখা যায় কাঁচা ধান দলবল নিয়ে কাটছেন এমপি ছবি তোলার সময় অসহায়ের মত সব কিছুর দিকে তাকিয়ে ছিলেন জমির মালিক কৃষক।এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সমালোচনা করে পোস্ট দেন এখন কৃষককে ক্ষতিপূরণ কে দেবে।
দেশের এই চরম দুর্যোগের সময় রাজনৈতিক নেতাদের এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড নিন্দার ঝড় সৃষ্টি করেছে। জনসেবার নামে তামাশা বন্ধ করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
অতএব সকল রাজনৈতিক নেতাদের উচিত জাতির এই চরম দুর্দিনে কৃষকের যাতে উপকার হয় সে ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।রাজনৈতিক নেতাদের মনে রাখা উচিত কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করে বাহবা কুড়ানোর সময় এখন নয়।

