সরকার ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, প্রথম ধাপে ৪এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে ৪এপ্রিল থেকে এখন সাধারণ ছুটি চলছে।
সরকার মূলত জনগণকে ঘরে থাকার জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। আর আমরা বাঙালিরা ঈদ পালন করতে গ্রামে চলে আসি।
দেশের এই করোনার সংকটকালীন পরিস্থিতিতে আজও যদি আমরা বুঝতে না পারি তাহলে বুঝবো আর কবে?
যদি আমরা যে যার অবস্থানে অবস্থান করতাম তাহলে হয়তো বা করোনার ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমানো যেত।
দু-তিনদিন হয় ঢাকাকে সারা দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং জনগণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আসলেই কি প্রশাসন জনগণের যাতায়াত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়েছে?
এক কথায় উত্তর আসবে না। জনগণ যতদিন পর্যন্ত সচেতন না হবে ততদিন কিছুতেই প্রশাসনের একার পক্ষে জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
গতকাল এবং আজ অনেক লোক ঢাকা থেকে গ্রামে আসছে। আমি একজনকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কিভাবে দেশে আসলেন লকডাউনে মধ্যে ?
তিনি আমাকে উত্তর দিলেন রিকশায় করে এবং হেঁটে হেঁটে।
আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম আপনি যদি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে এর থেকে কে আক্রান্ত হবে প্রথম?
আবার উত্তর দিয়ে দিলাম যে আপনার পরিবার এবং পরে এলাকাবাসী। অতঃপর তাকে অনুরোধ করলাম যতটা সম্ভব সবার কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য ।
অতএব আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই তাইলে কিছুটা হলেও করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

