ধারণা করা হয়, যে প্রায় ২৮০০ বছর পূর্বে চীন দেশে সর্বপ্রথম ঘুড়ির উৎপত্তি হয়েছে। পরবর্তীকালে এটি এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভারত, বাংলাদেশ, জাপান এবং কোরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ইউরোপেও ঘুড়ি খেলাটি প্রচলন ঘটে প্রায় ১৬০০ বছর পূর্বে।
অনেক সময় যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুড়ি দিয়ে শত্রুপক্ষের চোখ এড়িয়ে নিজেদের লোকদের কাছে সংবাদ পাঠানো হতো। এছাড়া দূরত্ব মাপা, বাতাসের গতি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সংকেত পাঠানোর কাজে ঘুড়ি ব্যবহার করা হতো।
বাংলাদেশ ঘুড়ি উৎসবের ইতিহাস অনেক পুরনো। মোঘল আমল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ ঘুড়ি নিয়ে উৎসব করে। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ঘুড়ি উৎসব হলো পুরান ঢাকার পৌষ সংক্রান্তির ঘুড়ি উৎসব।
আমাদের শরীয়তপুর অঞ্চলেও প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে প্রচুর পরিমাণে ঘুড়ি উড়ানো উৎসব হত। বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঘুড়ি উৎসবের ঐতিহ্য প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। এ যুগের ছেলেমেয়েরা ঘুড়ি কি জিনিস সেটাই ভুলে যেতে বসেছিল।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে লকডাউন থাকায় মানুষ অনেকটা অবসর পায়। আর এই অবসরেই আমাদের অঞ্চলের সেই পুরনো ঐতিহ্য ঘুড়ি উৎসব নতুন রূপে আমাদের মাঝে ফিরে আসে।
শরীয়তপুরের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে সর্বত্র এখন দেখা যাচ্ছে ঘুড়ি আর ঘুড়ি । বয়স্ক লোক থেকে শুরু করে শিশুদের হাতেও এখন ঘড়ি শোভা পাচ্ছে। শরীয়তপুরের আকাশে পতপত করে উড়ছে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি। শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় সেই ঘুড়ি উড়ানো দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে।
আর এই লকডাউন এর মাঝে শরীয়তপুরের ঘুড়ির অতীত ঐতিহ্য আবার প্রাণ ফিরে পেল।


