আবেদনের চার মাস পেরিয়ে গেলেও বাণিজ্যিক থেকে দাতব্য করেনি মসজিদের বিদ্যুৎ বিল শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

0



গত ৩১ মে রবিবার শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বালাখানা সদর দপ্তর অফিসে নিয়ামতপুর ফকির বাড়ির জামে মসজিদের বিদ্যুতের বিল বাণিজ্যিক থেকে দাতব্য করার জন্য ১৭৩ টাকা জমা দেওয়া হয় কিন্তু প্রায় চার মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল দাতব্য করা হয়নি। তাই প্রতি মাসে আল্লাহর ঘর মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ পরিমাণে প্রদান করতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য প্রায় চার বছর আগে মসজিদের বিদ্যুৎ মিটার থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চার্জ দেওয়ায় পল্লী বিদ্যুতের সমিতির কর্মী (মিটার রিডার) ১০০ টাকা দাবি করেন তখন ভ্যান এর মালিক বলেন আমি পুরো মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার শর্তে আমার ভ্যান এখানে চার্জে দিয়েছি আপনাকে মাসে ১০০ টাকা দেবো না। পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার একশত টাকা না পেয়ে অভিযোগ করলে পরের মাস থেকে দাতব্য থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল আসতে শুরু করে।এরপর ২ বছর পর ভ্যানের মালিক ভ্যান বিক্রি করে দেন। তখন মাসিক বিদ্যুৎ বিল লিখতে আসলে মসজিদ কমিটি মোকলেস নামে একজন মিটার রিডার এর সাথে আলোচনা করলে তিনি বলেন আমার কাছে দুইশত টাকা প্রদান করলে আগামী মাস থেকে আপনাদের বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক থেকে দাতব্য করে দেব। তার কাছে দুইশত টাকা প্রদান করা হলে পরের মাস থেকে তিনি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ প্রদান করতে তিনি আসেন নি এবং মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দাতব্য ও করেননি।মসজিদ কমিটি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি শরীয়তপুর থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে গেছে। অতঃপর দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরে গত ৩১মে মসজিদ কমিটির প্রতিনিধির মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তে গিয়ে সরাসরি আবেদন করা হয় কিন্তু আজ অব্দি বিদ্যুৎ বিল দাতব্য করা হয়নি।

করোনার কারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের বিল কালেকশন এর সময় শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ নুরুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তিনি কোন সদুত্তর প্রদান করতে সক্ষম হননি।

বর্তমান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ামতপুর গ্রামের মিটার রিডার আজহারুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তিনিও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।

অতঃপর সমস্যাটি সমাধানের জন্য শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরের অভিযোগ নাম্বারে ফোন করেও বিষয়টি সমাধানের কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

এমতাবস্থায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন শরীয়তপুর সদর থানার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের ফকির বাড়ির মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের এই সমস্যাটি সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা করে দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top