সাকিব আল হাসানের পরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন।তিনি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া, বাদ পড়ার প্রক্রিয়া, তার অবসর না নেওয়া সংক্রান্ত বিতর্ক, বিসিবির ভূমিকা ও পেশাদারিত্ব সংকট, সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম এর সাথে সরাসরি আলোচনা করেছেন।
মাশরাফিকে এবার দলে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাকে যখন দলে নেওয়া হয়নি অনেকেই (সংবাদমাধ্যম) তখন আমার কথা জানতে চেয়েছে। আমি তখন স্রেফ একটুই বলেছি যে এটা পেশাদার সিদ্ধান্ত, পেশাদার ভাবে দেখছি। কিন্তু পরে ১৫ থেকে ৩০দিনের মধ্যে আমি দেখলাম! একেকজন (বিসিবির) একেকরকম স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। মিডিয়া প্রশ্ন করবেই তখন উনারা সত্যি কথাটা বললে সমস্যা ছিল না।
ফিটনেস সম্পর্কে মাশরাফির বলেন, আমার ফিটনেস টেস্টের রিপোর্ট নিশ্চয়ই ওনাদের কাছে আছে। মাশরাফি কখনো ফিটনেসের টেস্টে ফেল করেছে কিনা উনাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না।প্রয়োজনে তারা বলতে পারতো মাশরাফির আবার ফিটনেস টেস্ট নাও। সেটা না নিয়ে উল্টো বলেছেন মাশরাফি ফিটনেস টেস্টে ফেল করবে। এটা আমার জন্য অপমানজনক।
দল ঘোষণার ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, প্রধান নির্বাচক বলেছেন মাশরাফিকে দল ঘোষণার ব্যাপারে জানানো হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। তারপর দেখলাম নির্বাচক সুমন ভাই ও একই কথা বলছেন। আমার এখন কি বলা উচিত।
মাশরাফি বলেন, বাদ দিয়েছে, এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। বাদ দেওয়ার পর আপনার যে জিনিসগুলো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন যে ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুনদের সুযোগ দেওয়া। এটা খুব স্বাভাবিক আমিও এখানে একমত।আমারতো ক্যারিয়ার শেষের দিকে কিন্তু এটা অপ্রত্যাশিত যে, এই যুক্তির সঙ্গে পরে উনারা এসব জড়িয়ে দিলেন। তাঁকে জানানো হয়েছে, এটা তার ফিটনেসের সমস্যা।
দল থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন বাদ দেওয়ার কারণ এর সাথে আমি একমত। বিশ্বকাপে আমি যে পারফরম্যান্স করেছি, তারপর বাদ যাওয়াই স্বাভাবিক। ক্রিকেট বোর্ডকে একটা না একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হত। হয় আমার উপর আরো কিছুদিন আস্থা রাখতে পারত অথবা বাদ দিতে পারতো। বাদ পড়াকে আমি কোনভাবেই অকারণ মনে করিনা।
বিদায় প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, অবশ্যই বিদায় নেওয়া উচিত ছিল আমার। কিন্তু বিদায় কি কেউ দিতে চেয়েছে, আমাকে সঠিকভাবে কেউ বলেছে। আমাকে তো বাদ দিয়ে দিয়েছেন। বিদায়ের প্রস্তাব তো দেয়াই হয়নি।


