ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর ইরান তার আকাশসীমা পুনরায় চালু করেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, রাজধানী তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশসীমা ও বিমানবন্দর আবারও ফ্লাইট পরিচালনার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানায়, তেহরানের মেহরাবাদ ও ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে। এসব বিমানবন্দর সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
তবে ইসফাহান ও তাবরিজ বিমানবন্দর এখনো বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত হলেই ওই শহরগুলো থেকেও ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নয়ন অনুসরণ করে এই বিমানবন্দরগুলো শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে আকাশসীমা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয় তেহরান। ইরানও পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই সংঘাতের ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।
ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে এই সংঘাতের ফলে বিশ্বজুড়ে তেল সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে, যা ইতোমধ্যে তেলের দামের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও ইরান আকাশসীমা পুনরায় চালু করেছে, তবে এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানের এই সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক উত্তেজনা নিরসনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।