
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। মতিউর রহমান মামুন নামে এক ঠিকাদারের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় গত ১৬ এপ্রিল এই মামলা করা হয়। গত ১০ এপ্রিল ঠিকাদার মামুনের ম্যানেজার মজিবর সরদার ও তার ভাই এমদাদ সরদারকে আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়।
এ মামলার বিষয়ে আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে তাকে এবং তার পরিবারকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ ১৪ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়ের কৃত এজহার ,ভিকটিম মুজিবর সদ্দার ও এমদাদ সর্দারের বক্তব্য এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার মতিউর রহমান মামুন শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে দাতপুর বড় মাদ্রাসা হতে তুলাতলা বাজার কাটাখালি খাল পর্যন্ত দুই হাজার ৮০০মিটার খাল খননের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত হয়।খাল খনন শেষে অব্যবহৃত মাটি ঠিকাদার নিয়ে যায় তখন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সেই মাটির নিতে ঠিকাদারের সাইট ম্যানেজার মুজিবুর রহমান সরদার কে বাধা প্রদান করেন এবং তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে মাটি ক্রয় বাবদ ঠিকাদার রাজস্ব খাতে ১লাখ ৯হাজার টাকা প্রদান করেন।আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে মজিবর সর্দার এবং এমদাদ সরদার কে মারপিট করেনকরেন গুরুতর আহত অবস্থায় তারা দুজন এখন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এই মামলার বিষয়ে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যান হবার পর থেকেই আমার প্রতিপক্ষ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে আমার ভাইদের হত্যা মামলায় জড়িয়েছে ,চক্রান্ত করে গোপালগঞ্জের একটি চাঁদাবাজি মামলায় আসামি করেছে একে একে সব মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবার যে চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। ঠিকাদার খাল খনন করে স্থানীয়দের ফসলি জমিতে মাটি রেখেছে এবং সেই মাটি তাদের ফসলি জমি নষ্ট করে ইটভাটায় বিক্রি করেছে।এই নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ঠিকাদারের লোকজনের সাথে ঝগড়া হয় সে হিসেবে আমি শুধু সেখানে গিয়ে ঝগড়া থামিয়ে দেই, এর এক সপ্তাহ পরে চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় আমি চাদা চাই নাই ও মারামারিতে ছিলাম না।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন বলেন, আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাল খননে বাধা প্রদান করে ও চাদা দাবি করেএবং পরবর্তীতে ঠিকাদারের লোকজনকে মারধর করে । এ বিষয়ে মামলা হয়েছে মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

