
করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের রুবেল মুন্সীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে আংগারিয়া এফ.সি। শরিয়তপুর জেলায় করোনর প্রাদুর্ভাব থেকেই আংগারিয়া এফ.সি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে প্রথমেই তারা নিজেদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার জনগণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
শরীয়তপুর জেলার প্রথম সংগঠন হিসেবে হিসেবে আংগারিয়া এফসি করোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।তাদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার শরীয়তপুরের ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালে কর্মচারী, দিনমজুরসহ সমাজের সর্বস্তরের লোকদের বিনামূল্যে বিতরনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন।
আংগারিয়া এফসির কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো,
গত ২৪শে মার্চ থেকে আংগারিয়া এফসির যোদ্ধারা তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। ঐদিন আংগারিয়া বাগচি বাজার, নদীর পাড় রাস্তা, মনোহর বাজার মোড়, চৌরঙ্গী মোড়,রাজগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় তাদের তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন।
তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে প্রতিদিন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সফলতার সাথে।
গত ২৭ শে মার্চ রুবেল মুন্সির নেতৃত্বে আংগারিয়া এফ. আংগারিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এবং পালং থানার সকল পুলিশের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস,মাক্স বিতরণ করেন এবং তাদের অফিস গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন।
গত ২৯ শে মার্চ থেকে লিফলেট এর মাধ্যমে কোন ধরনের ঝুঁকি থাকে বিধায় তারা গণসচেতনতা মাইক ব্যবহার করেন। ঐদিন তারা বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সাবান বিতরণ করেন।আংগারিয়া এফ.সি প্রায় ৭০০ পরিবারের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ করেন।
গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে তাই মানুষ বেকার হয়ে পরে। এজন্য তারা এপ্রিলের প্রথম থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন।মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের প্রয়োজনে তারা খাবার নিয়ে বাড়ি বাড়ি ছুটে যান।তাদের এই খাবারের মেনুতে যা থাকে তা হলো চাল-ডাল-তেল-লবণ, আলু, পেঁয়াজ এবং সাবান।
জেলা প্রশাসন শরীয়তপুর জেলা কে লকডাউন ঘোষণা করলে আংগারিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল এর পরামর্শে আংগারিয়া ও আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন সংযোগ সড়ক লকডাউন এর সাহায্য করে আংগারিয়া এফ.সি।
কারো একার পক্ষে এত বড় জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সফল করা সম্ভব নয়। আংগারিয়া এফ.সির এসব জনকল্যাণমূলক কাজে প্রচুর পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হয়। তাদের ত্রাণ প্রজেক্টে অর্থের যোগান দিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অনুদান প্রদান করেন। এ সময় রুবেল মুন্সী আংগারিয়া এফ.সির কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতেও অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বিধাবোধ করে নাই।
তবে আংগারিয়া এফসির অনুপ্রেরণায় শরীয়তপুর১ আসনের এমপি জননেতা জনাব ইকবাল হোসেন অপু এমপি ছিলেন বলে কোন কর্মকান্ডে তারা পিছু হটেনি।







