যশোরের বেনাপোলের রঘুনাথপুর সীমান্ত থেকে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে শফিকুল ইসলাম কাজল এর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে।মুখভর্তি দাড়ি, এলোমেলো চুল আর অপ্রকৃতিস্থ চেহারার সাংবাদিক কাজলের দুহাত পিছনে দিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আদালতে এনেছে পুলিশ। পুলিশের ওই মামলায় সাংবাদিক কাজলকে জামিন দিলেও ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় সাংবাদিক কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ৯, ১০ও ১১ মার্চ মামলা তিনটি হয় যথাক্রমে শেরেবাংলানগর,হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় আদালতে মামলা তিনটি সম্বন্ধে কোন আদেশ প্রদান করেননি।
উল্লেখ্য, যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেল কেন্দ্রীয় কারবারে জড়িতদের নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর বাদী হয়ে গত ৯ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে মামলা করেন তাতে আসামির তালিকা কাজলের নাম রয়েছে।পরদিন ১০ মার্চ শফিকুল ইসলাম কাজল রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন পরে তার কোন খোঁজ না মিললে তার ছেলে মনোরম পলক প্রথমে চকবাজার থানায় জিডি এবং পরে মামলা দায়ের করেন।


