আজ মঙ্গলবার ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নীতিগত সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য বলে অভিহিত করে সেদেশের কোম্পানিগুলোকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও একটি হাইটেক পার্কে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।
আইসিটি শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে এখন ২৮ টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে। আমরা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই, ভৌত অবকাঠামো, আইনি ও আর্থিক সুবিধা ও দিচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটাতে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি। আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময় একটি শক্তিশালী অংশীদারি হিসেবে আমাদের পাশে থেকেছে। এটা আমাদের রপ্তানি সর্ববৃহৎ গন্তব্য। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস। আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
বাংলাদেশ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, যার ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানিকারকরা ঘরের ১৬ শতাংশ শুল্ক দেয় ।আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুতা, সয়াবিন ও গমের মতো শিল্প কাঁচামাল ও ভোগ্য পণ্য ক্রয় করি। বাংলাদেশের এই সব পণ্য বিনাশুল্কে আমদানি হয়। বিদেশী সাহায্যের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের লাখো তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।


