স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পোস্টার লাগানো ওই ব্যক্তির নাম সাজিট মোল্যা। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। পুলিশের দাবী, পোস্টার লাগানোর সময় ভিডিওটি বেশ কিছুদিন আগেই ধারণ করা হয়েছিল। সাজিট বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে কোনো তাৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানা যায়, শহরের বিভিন্ন স্থানে, যেমন পালং তুলাসার সরকারি স্কুলের দেয়াল, গেট, ঈদগাহ এলাকা এবং পৌরসভা এলাকায় পোস্টারগুলো লাগানো হয়। ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি প্রথমে সাজিট মোল্যার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করা হয় এবং পরে ছাত্রলীগের পেজ থেকেও শেয়ার করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাজিট মোল্যা রাতের আঁধারে দেয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার লাগাচ্ছেন এবং পেছন থেকে কেউ সেই দৃশ্য ভিডিও করছেন। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে; ইনশাল্লাহ। শেখ হাসিনাতেই আস্থা। প্রচারে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।’
এই ঘটনা নিয়ে শরীয়তপুরের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হতে পারে। অপরদিকে, সমালোচকরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রচারনায় রাতের আঁধারে এমন কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ।
শরীয়তপুরের বাসিন্দারা এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ এ ধরনের কার্যক্রমকে সমর্থন করলেও, অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক প্রচারণা স্বচ্ছ ও জনসম্মুখে হওয়া উচিত, যাতে কোনো ধোঁকা বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়।