ফরিদপুরের গুরুত্বপূর্ণ ভাঙ্গা সড়ক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শরীয়তপুর জেলার সড়কগুলোতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মালপত্র পরিবহনের অন্যতম পথ ছিল এই সড়কটি। বিকল্প রুটে চলাচলের কারণে শরীয়তপুরের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় কয়েকগুণ যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য বড় ধরনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে ঢাকায় পণ্য পৌঁছাতে গড় খরচ পড়ত ৫–৬ হাজার টাকা; বর্তমানে তা বেড়ে ৮–১০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। সময়ও প্রায় দ্বিগুণ লাগছে। দ্রুত নষ্ট হয় এমন কৃষিপণ্য বিলম্বে পৌঁছানোর ফলে অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা বাজারে সবজি, মাছ ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিদিনের যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শরীয়তপুর থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা জানান, আগে যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যেত, এখন সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরাও একই দূরত্বে দ্বিগুণ সময় লাগার অভিযোগ করেছেন।


